বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য গাউড : এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর প্রায় ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য।
বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী মিলে ১৫৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
কোথায় কবে কখন এবং কিভাবে ভর্তি?
তার খুটিনাটি তুলে ধরা হল উচ্চ শিক্ষার ১ম সোপানে পা রাখতে যাওয়া শিক্ষার্ধীদের জন্য।
কুইক লিংক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
মেডিকেল কলেজ ভর্তি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ ভর্তি
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
কোন প্রতিষ্ঠানে কত আসন
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা
প্রশ্ন -উত্তর
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | সংখ্যা |
---|---|
সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় | ৪৬ |
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় | ১০৭ |
সরকারি মেডিকেল কলেজ | ৩৬ |
সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট | ৮ |
বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট | ২৬ |
কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কিভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিবে?

চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
বাংলাদেশের প্রাচীনতম, সর্ববৃহত্ এবং উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯২০ সালে ভারতীয় বিধানসভায় গৃহীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইনবলে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ৭২১৮।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে স্নাতক(সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি পরিক্ষা হবে।
১০০ নম্বরের মধ্যে লিখিত ও বহুনির্বাচিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকবে ৮০।
লিখিত পরীক্ষায় ৪০ এবং বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর থাকবে ৪০।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল থেকে ২০ নম্বর।
ক্রমিক | অংশ | নম্বর |
১ | লিখিত পরীক্ষা | ৪০ |
২ | বহুনির্বাচিত পরীক্ষা | ৪০ |
৩ | মাধ্যমিক ও ইচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল | ২০ |
মোট | ১০০ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞানের বিষয়ের ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদনের যোগ্যতা ছিল এসএসসি ও এইচএসসি মিলে কমপক্ষে জিপিএ-৮। খ ইউনিটে ৭ এবং গ ইউনিটে ৭ দশমিক ৫।
আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট প্রশ্ন সমাধান ২০১৯-২০
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা – ৪৭২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) ভর্তি পরিক্ষা হবে।
শুধুমাত্র ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষাথীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ১৭৫৩.৮৮ একর পাহাড়ি ভূমিতে অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু।
আসন – ৪৬৭৪
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ নম্বরের ভর্তি পরিক্ষা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২ কিমি দূরে সাভারে এশিয়ান হাইওয়ের (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক) পশ্চিম পার্শ্বে ৬৯৭.৫৬ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে একই ধরনের দু’টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগ ঢাকার কাছে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করে।
আসন – ২২৫২
মেডিকেল কলেজ ভর্তি
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ এবং ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল হওয়ার কথা থাকলেও এইচএসসির ফল প্রকাশ ৩০ জানুয়ারি হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) এ কে এম আহসান হাবীব এর দেওয়া তথ্য মতে, ২ এপ্রিল এমবিসিএসের পরিক্ষা এবং ৩০ এপ্রিলে ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তবে এখনো এটি চূড়ান্ত হয়নি। পর্যালোচনা সভা করে সিদ্ধান্ত হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
১০০ নম্বরের ১০০টি MCQ প্রশ্নের ১ (এক) ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়ের নাম | নম্বর |
জীববিজ্ঞান | ৩০ |
রসায়ন | ২৫ |
পদার্থ | ২০ |
ইংরেজি | ১৫ |
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | ৬ |
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | ৪ |
মোট নম্বর | ১০০ |
নম্বর কর্তন
লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
পাশ নম্বর
লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।
শুধুমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ ভর্তি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতক (পাস) কোর্সে প্রথম বর্ষে মোট আসন আছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫।
সম্মান প্রথম বর্ষে আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫টি এবং পাস কোর্সে আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯টি।
স্নাতক(সম্মান) পড়ানো হয়, এমন কলেজ সংখ্যা ৮৬৭টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি শতবর্ষী কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কিন্তু এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
যদি এটি না হয়, তাহলে সব কলেজে গত কয়েক বছরের মতোই এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
দেশের ১০৭টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে ৯৭টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি অভিন্ন আইনের অধীনে চললেও তারা পৃথক ব্যবস্থায় ভর্তিসহ শিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে।
এখন পর্যন্ত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নেই। অর্থাৎ আগের মতোই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত আছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) তাদের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির বিষয়টিও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ -এ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার ১ম সোপানে প্রবেশ করতে পারবে
পরীক্ষা পদ্ধতি
বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা – তিন বিভাগের জন্য মোট তিনটি ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা দিবেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রশ্ন করা হবে।
পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি –ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেওয়া হবে। এরপর গুচ্ছের মধ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে।
পরীক্ষায় পাওয়া স্কোর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। পরে আর কোনো পরীক্ষা হবে না।
২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিবে, সেটি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে।
মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ -৬ থাকতে হবে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য মোট জিপিএ -৬.৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য মোট জিপিএ -৭ থাকতে হবে। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসি – কোন পরীক্ষায় জিপিএ -৩ এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মতো এবারো কৃষি ও কৃষির প্রধান্য থাকা সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। স্থলজ ও জলজ উত্পাদনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত কৃষিবিজ্ঞানের সকল শাখাই এর কার্যক্রমভুক্ত। ‘পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৬১’-এর প্রেক্ষিতে ১৯৫৯ সালে জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৬১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ১২০০।
চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তাদের নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নিবে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য
কোন প্রতিষ্ঠানে কত আসন ?
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | ৬০,০০০ |
৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | ৭,২০৬ |
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ | ১০,৫০০ |
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | ২,০৩,৬৭৫ |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | ৮,৭২,৮১৫ |
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় | ৬০,০০০ |
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় | ৭৭,৭৫৬ |
দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় | ৪৪০ |
ঢাবি সাত কলেজ | ২৩,৩৩০ |
টেক্সটাইল কলেজ | ৭২০ |
সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি | ৫,৬০০ |
১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজ | ৬৫৪ |
ঢাবি ও রাবির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান | ৩,৫০০ |
চবি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান | ২৯০ |
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য: সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা
- University of Dhaka
- University of Rajshahi
- Bangladesh Agricultural University
4. Bangladesh University of Engineering & Technology - University of Chittagong
- Jahangirnagar University
- Islamic University
- Shahjalal University of Science & Technology
- Khulna University
- National University
- Bangladesh Open University
- Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Agricultural University
- Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University
- Mawlana Bhashani Science & Technology University
- Patuakhali Science And Technology University
- Sher-e-Bangla Agricultural University
- Chittagong University of Engineering & Technology
19. Rajshahi University of Engineering & Technology - Khulna University of Engineering and Technology
- Dhaka University of Engineering & Technology
- Noakhali Science & Technology University
- Jagannath University
- Comilla University
- Jatiya Kabi Kazi Nazrul Islam University
- Chittagong Veterinary and Animal Sciences University
- Sylhet Agricultural University
- Jessore University of Science & Technology
- Pabna University of Science and Technology
- Begum Rokeya University, Rangpur
- Bangladesh University of Professionals
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Science & Technology University
- Bangladesh University of Textiles
- University of Barisal
- Rangamati Science and Technology University
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Maritime University, Bangladesh
- Islamic Arabic University
- Chittagong Medical University
- Rajshahi Medical University
- Rabindra University, Bangladesh
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Digital University, Bangladesh
- Sheikh Hasina University
43. Khulna Agricultural University - Bangamata Sheikh Fojilatunnesa Mujib Science and Technology University
- Sylhet Medical University
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Aviation And Aerospace University (BSMRAAU)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য: কিছু প্রশ্ন -উত্তর
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যেতে কোন সমস্যা হবে কিনা?
বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে এমন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বই একই ধরনের সমস্যায় আছে৷ ফলে অটোপাস হলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিটি সাবজেক্টের আলাদা নম্বর ও গ্রেড রয়েছে৷ যারা বিদেশে শিক্ষার জন্য যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না৷
কারিগরি শিক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার ভর্তির সুযোগ না থাকলেও, কারিগরী শিক্ষা নিতে পারবেন উচ্চমাধ্যমিক গন্ডি পার হওয়া শিক্ষার্থীদের।
উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে আসনের কোনো সঙ্কট আছে কি ?
দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে আসনের ক্ষেত্রে কোনো সঙ্কট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্নাতক সম্মান, স্নাতক পাস ও সমমান কোর্সে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।
৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার ৯৫, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬, দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ হাজার ৫০০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজে ২৩ হাজার ৩৩০, চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরি প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ৬০০, ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিকাল কলেজে ৬৫৪, ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫০০ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ২৯০টি আসন রয়েছে।
আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ ইউনিট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রশ্ন সমাধান
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য : ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬টি কৃষিপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন।
জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পেয়েছে ১,৬১,৮০৭ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১১.৮৩ শতাংশ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ – ৪ থেকে ৫-এর নিচে ফল অর্জন করেছে ৫ লাখ শিক্ষার্থী।
জিপিএ-৩ থেকে ৪-এর নিচে ফল করা অনেক পরীক্ষার্থীও কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
ফলে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা হবে যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো বেশি প্রতিযোগিতামুলক।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, স্বনামধন্য কিছু সরকারি কলেজ এবং ভালো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির লড়াই হয়।
এবছর গতবারের তুলনায় তিন গুণ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
৪ থেকে ৫-এর নিচে পেয়েছেন দ্বিগুণ শিক্ষার্থী।
এবার ‘বিষয় ম্যাপিং’ পদ্ধতিতে জেএসসি ও এসএসসির গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের নম্বরকে বিবেচনা করে এইচএসসির বিষয়গুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়। এই বিষয়গুলোসহ আগের দুই পাবলিক পরীক্ষায় যারা ভালো ফল করেছিলেন, তাদের ফলই ২০২০ সালের এইচএসসি পর্যায়ে ভালো হয়েছে।
জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর নিচে ফল পেয়েছে ৩৭% শিক্ষার্থী
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা মোট পরীক্ষার্থীর ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪০ জনের ফল জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর নিচে, যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৩৭ শতাংশ। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০২ শতাংশ বেশি। যাদের বিষয়ভেদে ৭০ থেকে ৭৯ পর্যন্ত নম্বর পেয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তিন গুণ জিপিএ-৫ পেয়েছেন, যা সংখ্যায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭।
জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর নিচে পেয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৪ জন
জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর নিচে পেয়েছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৩ জন।
আর পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রশ্ন সমাধান